ইমরুল-মুশফিকের ব্যাটে রক্ষা
প্রকাশিত : ১৫:৫০, ২১ অক্টোবর ২০১৮
মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৬ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার লিটন দাস। এরপর ১ রান যোগ করতেই পড়ে আরো ১ উইকেট। এই যখন অবস্থা তখন শক্ত হাতে হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম ও ইমরুল কায়েস।
তাদের ব্যাটে প্রাথমিক বিপরর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে টাইগাররা। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান দলকে বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। হাত খুলে খেলছেন ইমরুল কায়েস। আর দেশেশুনে ব্যাট করছেন মুশফিক।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৬৬ রান। খেলা শেষ হয়েছে ১৪ ওভারের। ৪০ রানে ব্যাট করছেন ইমরুল আর ১৫ রানে ক্রিজে আছেন মুশফিক।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এ ম্যাচে অভিষেক ঘটেছে ফজলে মাহমুদ রাব্বির। চোটের কারণে এ সিরিজে নেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
চোটের কারণে দলে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেক সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তার জায়গায় খেলছেল ইমরুল কায়েস। আর জ্বরের কারণে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পেসার রুবেল হোসেনকে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
আজকের ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামেন দুই নির্ভনযোগ্য ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস।
তাদের সূচনাটা মন্দ ছিল না। দুই ওপেনার মিলে দারুণ শুরু করার পরই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হলো ওপেনার লিটন দাসকে। ব্যাক্তিগত ৪ রানে লিটন দাস যখন মাঠ ছাড়েন তখন দলীয় স্কোর মাত্র ১৬ রান। ওভার ৬ টি মীমাংসা হয়ে গেছে।
লিটন হাতখুলে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে যায়। বৃত্তের খানিকটা বাইরে দাঁড়ানো ফিল্ডার ঝুয়াওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। বোলার ছিলেন চাতারা।
লিটনের পর ব্যাট করতে নামে অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি। কিন্তু তিনিও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। চার বল খেলে শূণ্য রানে বিদায় নেন। রাব্বির ক্যাচটি তালুবন্দি করেন টেইলর। বোলার ছিলেন চাতারা।
রাব্বি যখন মাঠ ছাড়েন তখন বাংলাদেশের স্কোর মাত্র ১৭। তার মানে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৬৯ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। টাইগারদের ৪১ জয়ের বিপরীতে রোডেশিয়ানদের জয় ২৮টি। শেষ ১০ ম্যাচে জয়ী দলের নাম বাংলাদেশ। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের হারাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ
১. লিটন দাস
২. ইমরুল কায়েস
৩. মোহাম্মদ মিঠুন
৪. মুশফিকুর রহীম
৫. ফজলে রাব্বি
৬. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
৭. মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন
৮. মেহেদী হাসান মিরাজ
৯. মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক)
১০. মুস্তাফিজুর রহমান
১১. নাজমুল ইসলমা অপু
সূত্র : ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
/ এআর /